নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে আদালতের নির্দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৬১ জনের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশিদের পাঁচ দেশ ভ্রমণে সতর্কতা
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৮-এর নির্দেশে মামলাটি দায়ের করা হয়। এর আগে ১৩ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত মো. মুরসালিন আলমের (২২) বাবা মো. শাহ আলম বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন : গুমের সঙ্গে জড়িতরা পার পাবে না
আহত মুরসালিন আলম নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের যাত্রামুড়ার বরাব দিঘী এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শেখ হাসিনা ছাড়াও আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল আলম হানিফ, শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু ও সেলিম ওসমান, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নিজাম, শামীম ওসমানের ভাতিজা ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদসহ ৬১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ফের অটোরিকশা চালকদের অবরোধ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে সড়কে অবস্থান করছিলেন মুরসালিন আলম। এ সময় মামলায় উল্লিখিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে কোমর এবং দুই পায়ে বিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত জখম হন মুরসালিন। একটি গুলি তার মাংসপেশির একপাশে লেগে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এ সময় আরও ১০ থেকে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে আহত মুরসালিনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মুরসালিন এখনো সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
সান নিউজ/এমআর