নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ শেষে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ঢাকা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪.২০ মি. এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কারাগারে গেলেন সাবেক এমপি শম্ভু
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে সকার ১১.৪৫ মি. থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেসে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এর ফলে পরবর্তী সময়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে বিকেল ৪টার পর ঢাকা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল ফের শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, সোমবার প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনই (৩-৫) ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছেড়ে গেছে। এ সময় লোকাল ও কমিউটার ট্রেনগুলোর ক্ষেত্রে এ সময়টা একটু বেশিই ছিলো। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই বিকেল সাড়ে ৪টায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এই ট্রেন দুপুর ১.৪৩ মি. ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো।
এই অবরোধের কারণে দিনভর যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ সময় নিরুপায় অনেক যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় কমলাপুরে বসেছিলেন দিনভর। আবার অনেকে স্টেশনের পাশেই বাস কাউন্টারে যোগাযোগ করেন। এতে কেউ বাড়ি ফিরে গেছেন। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয় হলেও কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়নি।
আরও পড়ুন: ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা
এদিকে রেলওয়ে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মহাখালীতে ট্রেনে হামলার ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনই কোনো ধরনের মামলা দায়ের করবে না।
তার আগে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। এই মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় মহাখালী রেল ক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে দুপুর পৌনে ১২টায় নোয়াখালী-ঢাকায় আসা আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস শিক্ষার্থীদের অবরোধ উপেক্ষা করে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়। এ সময় ট্রেনটি শিক্ষার্থীরা থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঢিল ছুটতে শুরু করেন। এতে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে ট্রেনটি গতি কমিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সান নিউজ/এমএইচ