জেলা প্রতিনিধি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আকতার মন্তব্য করে বলেন, দেশে হাওর, বিল, নদীসহ সকল জলাশয় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের দায়িত্বে দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে। তারা বিশেষ সিন্ডিকেটের জন্য জলাশয়ে তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এদিকে ডিমসহ সকল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা একটি বড় সমস্যা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে পাবনা জেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সকল কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পলাতক পুলিশরা এখন 'সন্ত্রাসী'
উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, দেশে ডিমসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা একটি বড় সমস্যা। মূলত দেশের বড় বড় ডিম উৎপাদন কোম্পানিগুলো চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে এবং বাকি ৮০ শতাংশ সরবরাহ করতে হয় দেমের প্রান্তিক খামারিদের।
তিনি আরও বলেন, দেশে মুরগি, ডিম, বাচ্চা উৎপাদনকারী এবং ভোক্তার মাঝে কোনো ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। এ সময় বেশ কয়েকটি কোম্পানি বিভিন্নভাবে ডিম, মুরগি, বাচ্চা উৎপাদনকারীদের অধীনে নেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেন স্বাধীনভাবে ব্যবস্যা করতে পারে সেই দিকে নজর রাখছি। ব্যবসায়ীদের কোনো কোম্পানির অধীনে যাওয়া যাবে না।
এদিকে, ডিমের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ বিলে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। ডিম ও মাছ উৎপাদনে বিদ্যুৎ বিলকে কৃষি বিলে আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আসছেন ফলকার টুর্ক
এই মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আকতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মো. বেলাল হায়দার।
এই সভায় আরও বক্তব্য দেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম মুশাররফ হোসেন, মৎস্যজীবী গোপাল চন্দ্র হালদার, শাজাহান আলী, আলমগীর হোসেন, শাকিলা খাতুন প্রমুখ। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসাইন ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওমর আলী আলাদাভাবে বিভাগীয় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সান নিউজ/এমএইচ