নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা। যা অব্যাহত থাকবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় মাছ ধরা, পরিবহন, বিপণন ও সংরক্ষণ সম্পন্ন নিষিদ্ধ থাকবে।
এতে বেকার হয়ে পড়বে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার পাড়ের কয়েক হাজার জেলে। যে কারণে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তার মুখে পড়বেন তারা।
আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
জেলেরা বলছেন, এবার ভরা মৌসুমে পদ্মায় ইলিশ কম থাকায় অনেকেই দেনার দায়ে জর্জরিত। এরই মধ্যে আবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলে আশায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অভিযান চালানো হবে। আর জেলেদের সংকট দূর করতে নিবন্ধিত জেলেদের দেওয়া হচ্ছে ২৫ কেজি করে চাল।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৪ টি উপজেলার ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত মোট জেলের সংখ্যা ৫ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে সদরে ২ হাজার ৫৯০, গোয়ালন্দে ২ হাজার ১৫১, কালুখালীতে ৩২৪ ও পাংশায় ৪৪৮ জন জেলে ইলিশ মাছ ধরার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তবে জেলায় ইলিশ আহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বরাদ্দপ্রাপ্ত জেলে পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৯০ জন। মৎস্য বিভাগের তালিকাভুক্ত জেলেদের জন্য জেলায় বিতরণ করা হবে ১১৭.২৫ টন চাল। তালিকাভুক্ত প্রত্যেক জেলেকে দেওয়া হবে ২৫ কেজি চাল।
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল হচ্ছে না
দৌলতদিয়া পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, যেহেতু ২২ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকবে, তাই ঘাটে ভেড়ানো হচ্ছে নৌকা-ট্রলার। কেউ কেউ আবার নিষেধাজ্ঞার আগে শেষবারের মতো নদীতে যাচ্ছেন মাছ ধরতে। তবে তাদের ফিরতে হবে আজ রাত ১২টার আগেই। কেউ কেউ আবার আগে থেকেই জাল, নৌকাসহ মাছ ধরার সব উপকরণ তুলে এনেছেন ঘাটে।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ছগির মিয়া বলেন, ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধের সময় আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান চালাব। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশসহ কোনো মাছ যাতে কেউ ধরতে না পারে ও নদীতে নামতে না পারে সেজন্য আমাদের টিম সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে। আমরা ঘাটে ঘাটে জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক সভা এবং লিফলেট বিতরণ করেছি।
সান নিউজ/এমএইচ