নিজস্ব প্রতিবেদক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা গতকাল ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়। আজ সপ্তমী পূজা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারাগারে গেলেন মানিক
দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ স্থাপন সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভের মধ্যে চলছে মহাসপ্তমী। সকাল থেকে নগরীর মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান ও মহাপ্রসাদ গ্রহণ চলছে।
নগরীর জেএমসেন হল, রামকৃষ্ণ মিশন, কৈবল্যধাম, হাজারী গলি, গোসাইল ডাঙা, কুসুম কুমারী বিদ্যালয়, চেরাগি পাহাড়সহ বিভিন্ন মণ্ডপের প্রবেশ চলছে পূজা আর্চনা। প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তায় নির্বিঘ্নে চলছে পূজার কার্যক্রম।
এদিকে নগরের বেশিরভাগ মণ্ডপে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশকে নিয়ে অধিষ্ঠিত হয়েছেন দেবী দুর্গা। আনন্দ আয়োজনে বরণ করা হয় দেবী দুর্গাকে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অটোরিকশা চালককে হত্যা
উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান, দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দ্বীপ দিয়ে পুজো করেন ভক্তরা। সপ্তমী পুজো উপলক্ষ্যে একই দিন সন্ধ্যায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন মণ্ডপে ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবী দুর্গা এবার মর্তে আগমন করবেন দোলা বা পালকিতে। ফল মহামারি ও দুর্ভোগ। আর গমন করবেন ঘোটকে বা ঘোড়ায়। ফল ছত্রভঙ্গ। অর্থাৎ সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। আসা-যাওয়ার উভয় ক্ষেত্রেই ফল অশুভ।
প্রসঙ্গত, গত বছর দেবী দুর্গার আগমন-গমন হয়েছিল ঘোড়ায়। শাস্ত্রমতে বলা হয়েছ, কোনো বছর যদি দেবী দুর্গার আগমন ও গমনের বাহন একই থাকে, তা অশুভ প্রভাব বিস্তার করে।
সান নিউজ/এএন