নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ সকল তথ্য জানায় তিনি।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাথে বিএনপির বৈঠক
তিনি জানান, দেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢামেক হাসপাতালে মোট ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৮৪ জন হাসপাতালে মারা যায় এবং ৮৮ জনকে মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এ সময় মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে গুলির আঘাতে, তবে বিশেষ করে হেডশট ও বুকে গুলির কারণে তারা মারা যায়। এদিকে মৃতদের ৮৫ শতাংশের ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে।
অপরদিকে ময়নাতদন্ত না হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, ঐ সময় মৃত্যুর পরে মৃতের ময়নাতদন্তের কাজটি পুলিশের দায়িত্ব ছিলো। লাশের পুলিশ কেস হলে মর্গে লাশটি পাঠানো হয় এবং ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ ময়নাতদন্ত করে। ১ম ধাপে, (১৫-২২ আগস্টে) এর মধ্যে মৃত্যুর শিকার সকলের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু ২য় ধাপে মৃত অবস্থায় আসা কিছু লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি, কারণ প্রায় ১ সপ্তাহ পুলিশ ছিল না। এ সময় কিছু পরিবার মৃতের সদস্যরা ময়নাতদন্তে বাধা দিয়েছেন, যদিও তাদের বোঝানো হয়েছিল যে এটি বিচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে সালমান ও আনিসুল হক
তিনি আরও বরেন, এরপর যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যু হয়েছে, তাদের সকলের তথ্য রয়েছে এবং তাদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মৃত অবস্থায় আসা ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য না থাকায় তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এর পরে বেওয়ারিশ লাশ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার আসাদুজ্জামান জানান, ঐ সময় কিছু লাশের পরিচয় জানা যায়নি। পরে পুলিশ ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করেছে। তবে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের লাশ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। এর সঠিক সংখ্যাটি পুলিশ ভালো করে জানাতে পারবে।
সান নিউজ/এমএইচ