নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। সেখানে তারা পরিচয় দিচ্ছেন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে। তাদের মাধ্যে আবার অনেকের রয়েছে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা বাংলাদেশি পাসপোর্ট । ফলে নষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।
রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার অন্যতম প্রধান রুট সমুদ্র পথ। বঙ্গোপসাগর দিয়ে ট্রলারে করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। সেই পথ পারি দিতে গিয়ে মৃদ্যূর সংখ্যাও কম নয়।
আজ (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরেও বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। এর মধ্যে ১৪ জন নারী ও একজন শিশু। আরও ৬৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। তারা সবাই রোহিঙ্গা।
কেউ কেউ মৃত্যূকে বরণ করলেও অনেকে আবার শেষমেষ চলে যাচ্ছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে। গন্তব্যে পৌছে রোহিঙ্গারা পরিচয় দিচ্ছেন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে।
এদিকে বাংলাদেশি পরিচয়ে সেীদি আরবে থাকা প্রায় অর্ধ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চাপ দিচ্ছে দেশটি। আগামীকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ কমিশনের বৈঠকে সৌদি আরব প্রসঙ্গটি তুলতে পারে। কূটনৈতিক সূত্র জানা গেছে, সৌদি আরব দাবি করছে সেখানে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী প্রায় ৪২ হাজার রোহিঙ্গা কর্মরত রয়েছে।
তবে ঠিক কী পরিমান রোহিঙ্গা নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে বিদেশে কর্মরত আছেন, তার প্রকৃত হিসেব সরকারি কোন সংস্থার কাছে নেই। এর ফলে ভবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে দেশের। বিভিন্ন বৈঠকে বাংলাদেশি কূটনৈতিকদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে এ ধরণের বিব্রতকর বিষয়ের। এর দায়ভার কিছুই পড়ছে না মিয়ানমারের ওপর।
রোহিঙ্গাদের কারণে শুধু বিদেশে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে না, হুমকির মুখে পড়েছে আঞ্চলিক নিরাপত্তাও।
এর আগে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সান নিউজে। প্রায়েই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছেন তাদের অনেকে। সব মিলিয়ে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিসয় সামাল দিতে হমিশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রুত এর সমাধান করা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন সমস্যয় পড়বে দেশ। মিয়ানমার এ সমস্য সমাধানে এগিয়ে না এলে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।