নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিই দেশে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার (৫-৭ আগস্ট) বুধবার ৩ দিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে নির্বাহী আদেশে এই ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: শাহবাগে ছাত্র-জনতার অবস্থান
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর (২১-২৩ জুলাই) পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর পরে (২৪-২৫ জুলাই) সকাল ১১টা-বিকেল ৩টা পর্যন্ত সীমিতভাবে চলে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
এই পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে গত রোববার-মঙ্গলবার (২৮-৩০ জুলাই) অফিস চলে সকাল ৯টা-বিকেল ৩টা পর্যন্ত। পরে বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে স্বাভাবিক সময় ধরে চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
কিন্তু, শনিবার (৩ আগস্ট) থেকে এই পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকার পদত্যাগের ১ দফা দাবি ঘোষণা করেন। এরপর জনসমুদ্রে পরিণত হয় এ বিক্ষোভ সমাবেশ।
আরও পড়ুন: ঝিগাতলায় গুলিতে নিহত ১
এ সময় তাদের কর্মসূচিকে ঘিরে রোববার (৪ আগস্ট) ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনায় এখন পর্যন্ত বহু হতাহতের খবর পাওয়া যায়।
সারাদেশে সংঘাত-সংঘর্ষের এ সকল ঘটনায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরের জন্য কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে কারফিউ জারি করার কারণে সোমবার (৫ আগস্ট)-বুধবার (৭ আগস্ট) ৩ দিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সায়েন্সল্যাবে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রোববার থেকে সারা দেশে চলছে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এই আন্দোলনে রোববার সারাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
সান নিউজ/এমএইচ