নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরিস্থিতির মধ্যে গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী । তার আগে আরও ২টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিজিবির টহল জোরদার
শনিবার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর গণভবনে ২টি সংগঠন এবং রোববার (৪ আগস্ট) দেশের নিরাপত্তা কমিটিসহ সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (শনি-রোববার) গণভবনে মোট ৪টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আ’লীগ ও সংশ্লিষ্টরা জানান গেছে, শনিবার সকাল ১১টায় গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন সরকার প্রধান। এরপর বিকেল ৪টায় শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এর পরের দিন রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসি অংশগ্রহণ করবেন। এই দিন বিকেল ৪টায় সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে বসবেন তিনি।
এ সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি (এনসিএসএ) বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিতে মোট ২৭ জন সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশের ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা
অপরদিকে, শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে রাজধানীর গণভবনে জরুরি একটি বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে আবারও আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আ’লীগ। আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে বসতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে ৩ নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই বৈঠকে সরকার প্রধান বলেন, দেশে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকতে হবে। একই সাথে ৩ নেতা আন্দোলনকারীদের সাথে মতবিনিময় করবেন। এ সময় ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতারাও এই দলে যুক্ত হবেন।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সকল ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর সংখ্যা ২ শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে। সর্বশেষ শুক্রবার সহিংসতার ঘটনায় খুলনায় ১ পুলিশ সদস্য এবং হবিগঞ্জে ১ যুবক নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১৫৮ সমন্বয়ক টিম গঠন
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শুক্রবার সারাদেশে গণমিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। এই মিছিলে কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী ও কলাকুশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেয়। এই দিন ঢাকার অন্তত ১১টি স্থানে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এরই মধ্যে উত্তরার ১টি স্থান ছাড়া সকল জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হয়।
অপর দিকে ঢাকার উত্তরা, খুলনা, হবিগঞ্জ ও সিলেটে গনমিছিলকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে হতাহতের প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সান নিউজ/এমএইচ