নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আরও পড়ুন : এই অবস্থা সৃষ্টি হবে ভাবতে পারিনি
তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এটি এখনও প্রক্রিয়াধীন। যেকোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রজ্ঞাপন জারি হবে যেকোনো মুহূর্তে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসকক্ষে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন : দেশে ফেসবুক চালু
তিনি বলেন, আমি এখনও ফাইল পাইনি। আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা সকালে একটা মিটিং করেছি। দুপুরে একটা মিটিং করেছি। আমাদের মিটিং ছিল ১৫ আগস্ট জাতির পিতার ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গেও জামায়াতকে নিষিদ্ধসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবির আগেই নিষিদ্ধ ছিল। এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকগুলো এবং সুশীল লোকগুলো জামায়াতকে নিষিদ্ধের কথা বলে আসছেন। এটা সাধারণ মানুষের দাবি ছিল। এ নিয়ে ১৪ দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তারাও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের পরামর্শ দিয়েছিলেন। জামায়াত-শিবির চলমান পরিস্থিতি তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে জামায়াত-শিবির-বিএনপি ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতেই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : কাল থেকে রেল সেবা চালু
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরই তো এই অবস্থা তৈরি করে রেখেছে। এই অবস্থা তৈরি করার পেছনে তাদের যথেষ্ট যোগসাজশ রয়েছে। কোটা আন্দোলনের সবকিছু মেনে নেওয়ার পরেও আন্দোলন থামছে না, সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।
‘পরামর্শদাতারা পরামর্শ না দিলে ছাত্ররা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটাতো না। এই যে এত মানুষ হতাহত হয়েছে, সবই কী পুলিশের গুলিতে হয়েছে? আমরাও প্রকাশ করব, কার গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। সবই আমরা প্রকাশ করব। এসব কিছু ছাত্ররা করেনি। ছাত্রদের পেছন থেকে জামায়াত-বিএনপি ও অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোও সম্পৃক্ত ছিল বলে আমরা জেনেছি,’ বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যে কারণে অনেকদিন ধরে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি ছিল, সেটার বাস্তাবয়নের প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতির অবনতির জন্য যারা রয়েছেন, তাদেরও আইনের সামনে আনার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। যারা এগুলো করছেন, জনগণকে সে সম্পর্কে জানাতে হবে।
জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে আছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন জামায়াত-শিবির আগেই নিষিদ্ধ ছিল। জিয়াউর রহমান এসে তাদের দল করার রাজনৈতিক অধিকার দিয়েছে। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো এবং সুশীল সমাজও জামায়াত নিষিদ্ধের কথা বলে এসেছে। এটা জনগণেরও দাবি।
সান নিউজ/এমআর