নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) চার দিন ঢাকাসহ চার জেলায় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
আরও পড়ুন : কালকের মধ্যেই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই কথা জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোটা অন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ডিমান্ড ছিল, তার সব মেনে নেওয়ার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কারফিউ জারি করেছিলাম। আমরা সারা দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি৷ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আগামী বুধবার থেকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।
কারফিউ শিথিলের এ সিদ্ধান্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলায় কার্যকর হবে। অন্য জেলাগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। টানা কয়েক ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : সাইবার হামলার আশঙ্কা করছি
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিব, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সান নিউজ/এমআর