নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি সামামল দিতে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) থেকে কারফিউ জারি করেন সরকার। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় এই কারফিউর সময়ে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ সময় শুরুতে ২ ঘণ্টা শিথিল থাকলেও পর্যায়ক্রমে এর সময় বাড়ানো হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলছেন, খুব দ্রুতই সারাদেশ থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হেপাটাইটিস নির্ণয়ে পরীক্ষা করুন
শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য জানান।
এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান , ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় আগামী ৩ দিন (রবি-মঙ্গলবার) কারফিউ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এই ৩ দিন কারফিউ শিথিলের সময় আরও ২ ঘণ্টা করে বাড়ানো হয়েছে। সেই হিসেবে সকাল ৭টা-সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সারাদেশে পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে। সেই জন্য আমরা আমাদের যেই কারফিউ চলছে, সেটি আরেকটু শিথিল করতে চাচ্ছি। এতে ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় আগামী ৩ দিন কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ৭টা-সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বৈঠক আজ
এ সময় বাকি জেলাগুলোতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় করে তাদের নিজ নিজ জেলায় কারফিউ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সন্দেহে ১ ব্যক্তিকে পেটানোর পর মৃত ভেবে চলে যায়। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এখন সে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।’
এ সময় পুলিশকে হত্যা করে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার ১টি স্থিরচিত্রও দেখান তিনি। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বে থাকা ১২ পুলিশ সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের ১টি হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সময় র্যাব তাদেরকে হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: অপারেটরদের সাথে বৈঠক রোববার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের পরও কোটার নামে এ সকল বর্বরতা কেন, এটা জাতির কাছে জিজ্ঞাসা। এর দায়ভার কে নেবে? এর দায়ভার অবশ্যই যারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, তাদের থেকে আন্দোলন ভিন্ন খাতে (ডাইভার্ট) করে যারা নিয়ে গেছেন, তাদের সবাইকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের ছাত্র ভাইয়েরা যারা এখনও আন্দোলন প্রত্যাহার করেনি, তাদেরকে এই আন্দোলন প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করব। তারা যদি এটি প্রত্যাহার না করে, তাহলে এই দায় এড়াতে পারবেন না।
সান নিউজ/এমএইচ