নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে হেপাটাইটিস নির্মূলে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি দেশের চিকিৎসক সমাজ, বেসরকারি ব্যক্তি, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই সহিংসতা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত এবং আমাদের সবার প্রচেষ্টায় তা অর্জন সম্ভব। হেপাটাইটিস নির্ণয়ে পরীক্ষা করুন, টিকা নিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।”
রোববার (২৮ জুলাই) ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষ্যে ১ বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এখনই সময় এর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার’ যা সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
আরও পড়ুন: মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বৈঠক আজ
শেখ হাসিনা বলেন, হেপাটাইটিসজনিত কারণে সারাবিশ্বে প্রতিবছর ১.৩ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন, যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। এই হেপাটাইটিস লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। এজন্য হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে সারাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করেন। এরপর জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এবং জনসাধারণকে সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণ (এইচএনপি) সেবা প্রদানের মাধ্যমে ১টি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে আ’লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে যুগোপযোগী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সারাদেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক, নার্স, সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছি। গ্রাম পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
আ’লীগ সভাপতি বলেন, সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ফ্রি স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা দেয়া হচ্ছে। সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল-মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে। এ সকল পদক্ষেপের ফলে চিকিৎসা সেবার মান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, এরই সাথে বেড়েছে দেশের মানুষের গড় আয়ু।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আ’লীগ সরকারের সাফল্যের সাথে স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের জন্য এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, (সাউথ-সাউথ) অ্যাওয়ার্ড ফর ইমপ্রুভিং দ্য লাইভস অব উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন, (সাউথ-সাউথ) অ্যাওয়ার্ড ফর ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট পুরস্কার পায়। বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হতে পোলিও নির্মূল সার্টিফিকেট অর্জন করেছে। এছাড়াও, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সফলতার জন্য গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভি) আমাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও ২বার গ্যাভি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: অপারেটরদের সাথে বৈঠক রোববার
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সান নিউজ/এমএইচ