নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের পরে তা পনঃরায় চালুর বিষয়ে অপারেটরদের সাথে বৈঠকে বসবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে ১ অনুষ্ঠানে এই কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই সহিংসতা
প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে। রোববার সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সাথে বৈঠক করব। এই বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল ৩টি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে। এই জন্য শুধু টেলিকম খাতেই ৫০০ কোটি টাকা এবং সব কিছু মিলিয়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজধানীর উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার-১লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়াও ডাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে ৩টি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। এজন্য ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি ভালো হলে কারফিউ তোলা হবে
এই অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সারাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো ২/৪ দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, দেশে ইন্টারনেট এখন আমাদের মৌলিক অধিকার। তবে দুর্বৃত্তদের হামলায় মহাখালীতে সার্ভার ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সকল সেবা এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে।
সান নিউজ/এমএইচ