নিজস্ব প্রতিবেদক:
নভেল করোনা ভাইরাসের (এনসিওভি) সংক্রমণের হাত থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য বৃহত্তর স্বার্থে চীন থেকে আর কাউকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সরকার।
১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন ‘ফর দ্যা গ্রেটার ইন্টারেস্ট অব দ্য নেশন’ চীন থেকে এখন আর কাউকে আনা হচ্ছে না।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে ইনফরমালি যতটুকু কথা হয়েছে তাতে আপাতত চীনে আমাদের যারা আছেন, তাদের আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে যে, তারা যে যুক্তিগুলো দিয়েছেন যেমন, খাবারের অভাব, সাপোর্ট পাচ্ছেন না, আসলে তাদের খাবার-দাবারের কোনো অভাব নেই। বরং চীন সরকার তাদের সব সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে তাদের দেশে আনার কোনো জাস্টিফিকেশন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমাদের এ মুহূর্তে পরবর্তী যে লট সেটা আনার জন্য কোনো তরফ থেকে জাস্টিফিকেশন আসেনি। তার কারণে আপাতত সেটা হচ্ছে না।
প্রায় পাঁচ হতে সাড়ে পাঁচ হাজার বাংলাদেশি পড়াশুনা এবং বিভিন্ন কাজের সুবাদে চীনে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উহান থেকে ৩১২ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তারা বর্তমানে হজ্ব ক্যাম্পে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশটির স্বাস্থ্য কমিশন সোমবার জানিয়েছে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৯০৮ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ অবস্থায় চীন সরকার উহান নগরী পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে অবস্থানরত কাউকেই কোথাও বেরুতে দিচ্ছে না।
এদিকে যে বিশেষ বিমানে করে তাদের নিয়ে আসা হয় সেই বিমান এবং বিমানের ক্রু-পাইলটদের অন্যদেশে এখন আর ঢুকতেও দেয়া হচ্ছে না। এ জন্য নতুন করে কেউ চীনে যাওয়ার ব্যাপারে অনিহা প্রকাশ করছেন।
সান নিউজ/সালি