নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে কোটা সংস্কারে “বাংলা ব্লকেড” এর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে হতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে আসেন। শুরুতে তাদের মিছিলে গোটা বিশেক আন্দোলনকারীকে দেখা যায়। কিন্তু পৌনে ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে আরো ১টি মিছিল এসে তাদের সাথে যুক্ত হয়। এই মিছিলটিতে প্রায় হাজারও আন্দোলনকারীরা ছিলেন। এর ফলে শাহবাগ মোড় পুরোপুরি আন্দোলনকারীদের দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১১ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১২ টার দিকে শাহবাগ মোড় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় যে, আন্দোলনকারীদের ভয়ে সকাল ১০টার আগে মুহূর্তেই রাস্তায় পরিবহন চলাচল কমে যায়। এ সময় সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও কম ছিলো। এদিকে শাহবাগ দিয়ে মেট্রোরেলের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
অপরদিকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্যকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
তার আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে ১ সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানা্ন, সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ অনুযায়ী বুধবার (১০ জুলাই) সারাদিন দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করা হবে। এ সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি হাইওয়ে ও রেলপথও এর আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৪
তিনি আরও বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই এই কর্মসূচি পালন করছি। এই আন্দোলনের ফলে জনসাধারণের যেই ভোগান্তি হচ্ছে তার প্রতি আমরা সংবেদনশীল হবো। তবে এর দায়ভার দেশের সরকারকে বহন করতে হবে। এর কারণ এতদিনের আন্দোলনের পরেও তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি এবং বিষয়টি সমাধানের কোনও চেষ্টা করেনি। আমরা এর চূড়ান্ত সমাধান চাই। আমরা চাই যে, অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম ৫ শতাংশে এনে সংসদে একটি আইন পাস করে, কোটা পদ্ধতিকে পুণঃরায় সংশোধন করতে হবে। যা পরবর্তীতে সমস্যা হিসেবে সামনে না আসে।
এই কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ ইসলাম জানান, বুধবার (১০ জুলাই) থেকে আমরা সকাল-সন্ধ্যা “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছি। বুধবার সকাল ১০টার দিকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে হতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোর অবরোধ করব। এছাড়াও সারা দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই অবরোধ পরিচালিত হবে। এছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে ও রেলপথও এর অন্তর্ভুক্ত হবে। আমাদের সকল সমন্বয়কদের সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে “বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি সফল করার জন্য বলা হলো।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের প্রতি আহ্বান
আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, আমরা ইতোমধ্যে (১০ দিন) ধরে আমাদের এই দাবি আদায়ে জন্য রাজপথে আন্দোলন করে এসেছি। আমাদের এই দাবিটি দেশের সকল শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি ও অত্যন্ত যৌক্তিক হওয়ায় তা সবার মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যদি সরকারের নির্বাহী বিভাগ হতে কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই দাবি মেনে নেয়, সেই ক্ষেত্রে আমরা রাজপথ ছেড়ে ক্লাসরুমে ফিরে যাব। অন্যথায় আমাদের এই দাবি আদায়ে জন্য রাজপথ ছেড়ে যাব না।
সান নিউজ/এমএইচ