নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির নেতারা বিদেশে বসে সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্র করে আবার দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলেন। এতে তাদের দ্বিচারিতা এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
বিএনপি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি একটি বিদেশি সংস্থার সঙ্গে গোপনে বৈঠক করে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে। গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটিই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা কখনো জেদ্দা, কখনো আবুধাবি আবার কখনো লন্ডনে বসে গোপন বৈঠক করুন না কেন, সব খবরই সরকারের কাছে আছে।
গোপন বৈঠক আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। রাজনীতি করতে হবে জণগণের জন্য মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের মন জয় করুন। সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে জনমানুষের কাছে আসুন, বিদেশি শক্তি বা কোনো সংস্থার কাছে নয়।’
করোনার ভ্যাকসিন আসছে ভেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যেই গা-ছাড়া ভাব দেখা দিয়েছে, অবহেলা করছেন এবং মাস্ক পরিধান করছেন না। এমন উদাসীনতা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কার্যকর ও সর্বজনগ্রাহ্য ভ্যাকসিন কবে আসবে তা এখনো সুনিশ্চিত নয়।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরিধানই সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক। করোনার সংক্রমণ রোধে সচেতনতাই হচ্ছে উত্তম ভ্যাকসিন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রায় ৭০০ মিটার দীর্ঘ কালনাসেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু। মধুমতি নদীর দুপাড়ের মাঝে সেতুবন্ধ তৈরি ছাড়াও সেতুটি পদ্মাসেতুর সঙ্গে সংযুক্ত বলে পদ্মাসেতুর সুবিধা পেতে হলে কালনাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা জরুরি।
ইতোমধ্যেই কালনাসেতুর ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
পদ্মাসেতুর কাজের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ আরো দ্রুত এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সান নিউজ/পিডিকে/ এআর