নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করে বলেন, “আমার জীবনটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ” এবং যারা আমার নিরাপত্তা দেয়, তারাও ঐ সময় যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকে। যখন আমি আমার ছেলে-মেয়ের জন্য দোয়া করি, তখন যারা আমার সাথে কাজ করে... তাদের জন্যও দোয়া করি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী-ইইউ বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
রোববার (৭ জুলাই) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট’-এর (পিজিআর) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই সকল কথা বলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য
এ সময় পিজিআরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিজিআরের নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে।
ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর মধ্যে ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পিজিআরে বর্তমানে এপিসিসহ আধুনিক সরঞ্জাম যোগ করা হয়েছে। তার অপারেশনাল দক্ষতা বাড়াতে সরঞ্জামাদি যেমন বেড়েছে; ঠিক তেমনি এই রেজিমেন্টের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি-কৃষকের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে
শেখ হাসিনা বলেন, কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করে না বাংলাদেশ। এই দেশকে কেউ পেছনে টানতে পারবে না। অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির পানে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করিনি৷ বড় দেশ আমেরিকা... তাদের কোম্পানির গ্যাস তুলে বিক্রি করবে ভারতের কাছে, এতে আমি রাজি হইনি। এই জন্য ক্ষমতায় আসতে পারিনি। এই দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় বসতে হবে, এই দুর্বলতাও কখনও আমার মধ্যে ছিল না।
বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খবরদারি করা বড় বড় দেশগুলোও এখন এই দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি অস্বীকার করতে পারে না। এরই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আমেরিকার চেয়ে ১ পার্সেন্ট হলেও দারিদ্র্যের হার কমাতে হবে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: ব়্যাংক ব্যাজ পরালো হাসান মাহমুদকে
সেনানিবাসের অতীত চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় সেনানিবাসের আকাশ ও বাতাস ভারি হতো বিধবাদের কান্নায়।
সান নিউজ/এমএইচ