নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের আগরতলার নর্দমার পানি খালের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকছে। এতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আখাউড়া উপজেলার ১৫টি গ্রামের মানুষ। এই বিষয়ে বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দ্রুত দূষণ রোধের দাবী সংশ্লিষ্টদের।
গত কয়েক দশক ধরে কালন্দি খালের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে দূষিত পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া দিয়ে দেশে ঢুকছে। প্রায় ১৫ ফুট প্রশস্ত এই খালের পানিতে বিষাক্ত কেমিক্যাল, স্যুয়ারেজ বর্জ্য, পলিথিন ও বিভিন্ন খাবারজাত প্যাকেট, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও কাঁচের বোতল এবং অন্যান্য পচনশীল দ্রব্যের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এক সময় খালটি মিঠা পানির অন্যতম উৎস ছিল। বর্তমানে দূষিত পানিতে কালো রঙ ধারণ করায় 'কালন্দী' খাল নামে পরিচিতি পেয়েছে। এর ফলে সীমান্তবর্তী ১৫টি গ্রামের মানুষ চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। সেই সাথে এক হাজার ৫০০ হেক্টর ধানের জমির উর্বরাশক্তিও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।
এলাকাবাসী বলছেন, ‘আগরতলায় যতো বসতবাড়ি আছে, সেগুলোর টয়লেটের বর্জ্যসহ অন্যান্য সব বর্জ্য এই নদীতে ফেলেন তারা। এটা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে করে প্রচুর পরিমাণ মশা জন্মাচ্ছে। তাদের নর্দমার পানিও দিন দিন বাড়ছেই। নদীর পানিটা যদি শোধন করে দেন তারা, তাহলে আমাদের জন্য ভালো।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, বিষাক্ত এ পানি বাংলাদেশে প্রবেশের আগে পরিশোধন করতে ইটিপি স্থাপনের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কিছুই করেনি ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, আগামী এক বছরের মধ্যে সকল কাজ সম্পূর্ণ করবেন। এবং বাংলাদেশে যেন দূষিত পানি প্রবেশ না করে, সে বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এবং এই লক্ষ্যে একটা রেজুলেশনে উভয়পক্ষ সম্মত হয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
সান নিউজ/আরএইচ/ এআর