নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৬ সালের (১ জুলাই) গুলশান-২ এর লেক পাড়ের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। ৮ বছর আগের ঐ রাতে অস্ত্রের মুখে বেকারিতে থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞ শুরু করে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় যানজট
ভয়াবহ ঐ হামলায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও আরও ১৭ জন বিদেশি নাগরিকসহ নিহত হয় ২২ জন।
ঐ রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানের হত্যাযজ্ঞ ও জিম্মিদশা বন্ধ করতে পারেনি। তার পরের দিন (২ জুলাই) সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের পরিচালিত “অপারেশন থান্ডারবোল্ট” এর অবসানে ১২ ঘণ্টা চলে এই শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মিদশার। এ সময় নিহত হয় হামলাকারী ৫ জঙ্গি—রোহান ইমতিয়াজ, সামিউল মোবাশ্বির, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা শুরু
ঐ রাতে জঙ্গিরা কুপিয়ে ও গুলি করে মোট ২২ জনকে হত্যা করেন। এরপর জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান চালাতে গিয়ে বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের ২ কর্মকর্তা। ঐ হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় পুরো দেশ।
অপরদিকে হলি আর্টিজানে নিহতদের স্মরণে সোমবার সকালে বিভিন্ন সংগঠন হামলার স্থানটিতে গিয়ে নিহতদের স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৯
হলি আর্টিজান মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ:
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলেন, তথাকথিত জিহাদ কায়েমের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নব্য জেএমবির সদস্যরা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় ও দানবীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এই হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
সান নিউজ/এমএইচ