নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতি ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় গ্রেফতার ২ আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী শাজীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার বিকল্প নেই
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তাদেরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চান সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। এই শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদেরকে এই আদেশ দেন।
বুধবার (২৬ জুন) মামলার পলাতক এই ২ আসামিকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ১টি দল। এই দিন দুপুর থেকে হেলিকপ্টারে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের ২জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার বাড়ি থেকে বেরোনোর ৫দিন পরে শনিবার (১৮ মে) বরাহনগর থানায় নিখোঁজের বিষয়ে ১টি জিডি করেন তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। তারপরও খোঁজ মেলেনি ৩ বারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে ১টি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছে। এরপর ঘরের ভেতর থেকে পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। কিন্তু ঘরে মেলেনি লাশ।
আরও পড়ুন: জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ
এই ঘটনায় বুধবার (২২ মে) ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে ডরিন।
এই মামলার এজাহারে তার মেয়ে উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর শনিবার (১১ মে) ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সাথে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এর পরে বাবার মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। পরে সোমবার (১৩ মে) আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ১টি মেসেজ আসে যে, আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সাথে ভিআইপি আছে। আমাকে ফোন দেওয়ার কোন দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেবো।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার পরে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। তার কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরেও বাবাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। এর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে অপহরণ করে। বাবাকে সম্ভাব্য সখল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি।
আরও পড়ুন: পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২
এছাড়াও আমার ফোনে আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। এই মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন মেয়ে ডরিন।
সান নিউজ/এমএইচ