নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার ঈদুল আজহায় সারদেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩০৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও ১৮৪০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান
বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি এ তথ্য তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন : দুদকের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার
মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, এবারের ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত এবং ১৮৪০ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ২২টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ৬ জন আহত ও ৬ জন নিখোঁজ হয়। সবমিলিয়ে দুর্ঘটনায় ৪৮৮ জন নিহত ও ১৮৫০ জন আহত হন।
ঈদের আগে গত ১০ জুন থেকে ঈদ পরবর্তী ২৪ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে বলে উল্লেখ করেন যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
আরও পড়ুন : কারাগার থেকে পালালেন ৪ আসামি
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ঈদে যাত্রীকল্যাণ সমিতির সদস্যরা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যম, পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ১৪ দিনে হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০৭৮ জন রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন, তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ে এসেছেন ৪৭৮ জন।
আরও পড়ুন : পুকুরে ফেলা মোবাইল উদ্ধারে অভিযান
মো. মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ২০২৩ সালের ঈদুল আজহার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ১১.৫৫ শতাংশ, প্রাণহানি বেড়েছে ৫৩.১৭ শতাংশ এবং দুর্ঘটনায় আহত বেড়েছে ২৩৮.২৩ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা শীর্ষে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
এ সময় তিনি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমাতে চায় বলেও অভিযোগ করেন।
সান নিউজ/এমআর