নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন : ৭৪’র পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে শরীয়তপুরের শেখ রাসেল সেনানিবাসে নবগঠিত ১২৯ ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বিদায়ী সেনাপ্রধান বলেন, আমাদের কথা একেবারে পরিষ্কার। দেশে যদি ভবিষ্যতে আক্রমণ হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিহত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে প্রস্তুত সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বর্ডার ভায়োলেশন, যেমন রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ওইখানে কোস্ট গার্ড ও বিজিবি রয়েছে। তারা বিষয়টি সম্পূর্ণ তদারকি করছে। সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিচ্ছে। আমরা প্রস্তুত আছি, যদি লেভেল ক্লোজ করে তাহলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব।
আরও পড়ুন : সেন্টমার্টিন আক্রান্ত হলে ছাড় নয়
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমানে কুয়েত ও কাতারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এসব দেশে সেনাসদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে শেখ রাসেল সেনানিবাস।
সেনাপ্রধান বলেন, আমার দায়িত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবার মানসিকতা নিয়ে প্রদত্ত দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে পারায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত ও স্বাধীন ভূখণ্ড নিরাপদ রাখতে অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের সংকটময় মুহূর্তসহ যেকোনো পরিস্থিতিতে অকুতোভয় দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আকাশপথে বরিশাল থেকে শরীয়তপুরের শেখ রাসেল সেনানিবাসে আসেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আগামী ২৩ জুন অবসরে যাবেন তিনি। দীর্ঘ ৪৩ বছর সফলতার সঙ্গে একটি বাহিনীতে কাজ করে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব শেষ করা ভাগ্যের ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সান নিউজ/এমআর