নিজস্ব প্রতিবেবদক : দেশের আরও ৭০টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সারাদেশে ৫টি পর্যায়ে এবং ১০টি ধাপে ৫৮টি জেলার সর্বমোট ৪৬৪টি উপজেলার শতভাগ ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসন সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন : ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব
মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ, কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও এবং ভোলা জেলার চর ফ্যাশনের সাথে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন : কখনোই বলিনি আনার চোরাচালানে যুক্ত
জানা যায়, এবারের পর্যায়ে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোণা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, হবিগঞ্জও সুনামগঞ্জ-জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৭০টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষজন এসব ঘর-জমি পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম জানান, এখন পর্যন্ত অশ্রয়ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রম দ্বারা গৃহ প্রদানের মাধ্যমে ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসিত হয়েছেন ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন মানুষ। শুধু মুজিববর্ষের বিশেষ কর্মসূচির দ্বারা পুনর্বাসিত হয়েছেন ১৩ লাখ ৩০ হাজার ৬০ জন ছিন্নমূল মানুষ। তাদের জন্য বানানো হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ঘর।
আরও পড়ুন : রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
তিনি আরও বলেন, ঘন বানানোর জন্য সারা দেশে ৬ হাজার ৯৪৫ একর খাস জমির উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক স্থানীয় বাজার মূল্য ৩ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।
সান নিউজ/এমআর