নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ভাটারা থানার একটি আবাসিক এলাকায় বাসার রান্নাঘরে বিস্ফোরণ হয়েছে এবং এতে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা
সোমবার (১০ জুন) রাত ১১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন- রকসি আক্তার (২০), তার বোন ফুতু (১৮), রকসির ছেলে আয়ান (৩) ও রকসির বাবা আব্দুল মান্নান (৬০)।
দগ্ধদের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামে। তারা ভাটারা থানার একটি আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, গত রাতে নারী-শিশুসহ দগ্ধ অবস্থায় চারজন আমাদের জরুরি বিভাগে এসেছেন। এদের মধ্যে রকসি আক্তারের শরীরের ৫৫ শতাংশ, ফুতু আক্তারের শরীরের ৫৫, শিশু আয়ানের শরীরের ৭০ শতাংশ ও আব্দুল মান্নানের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: অবৈধ দোকান ও ভবন উচ্ছেদ
দেবর আহমেদ মোস্তফা বলেন, আমার ভাবী রকসির ব্রেন টিউমার হয়েছিল। এজন্য চলতি মাসের ১ তারিখে সপরিবারে তারা গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। পরে তারা একটি বাসা ভাড়া করেন। সেখান থেকে নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন। অস্ত্রোপচার করানোর পর ওই বাসায় রাখা হয়েছিল ভাবী রকসিকে। সোমবার সন্ধ্যায় বাসার রান্নাঘরে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রুমে থাকা শিশুসহ ৪ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
সান নিউজ/এএন