নিজস্ব প্রতিবেদক:
সময়মতো না যেতে পারলে চাকরি থাকবে না, এই মাথায় নিয়ে রাজধানী ঢাকার সড়কে বসেছেন প্রবাসীরা।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সোনারগাঁও হোটেলে সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের বাইরে অবস্থান নেন তারা। তাদের মধ্যে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সময়মতো না যেতে পারলে চাকরি থাকবে না।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মো. বরকত জানান, ‘আমরা মার্চে দেশে ফিরে লকডাউনে পড়ে গেছি। দেশে ফেরার সময় আমরা সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটেছিলাম। তবে যেতে পারিনি। আমাদের আকামার মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কয়েকদিন ধরে এখানেই আছি। দীর্ঘদিন দেশে থেকে পয়সা কড়ি সব শেষ। অনেক ধার-দেনা হয়ে গেছি। আমাদের যে কোনো ভাবেই হোক যেতে হবে। প্লিজ আমাদের সৌদি ফেরানোর ব্যবস্থা করেন।’
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রবাসীদের বিক্ষোভের মুখে ১০ জন প্রতিনিধিকে ভেতরে নিয়ে যায় সৌদি এয়ারলাইন্স। তাদের মাধ্যমে অন্যদের টিকিট সংগ্রহের সিরিয়ালের টোকেন দেয়া হয়। তবে আজ কোনো ঘোষণা না দিয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য অফিস বন্ধ করেন তারা। মূলত এ কারণেই বিক্ষোভে নামেন প্রবাসীরা।
বিক্ষোভ করা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে একই তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের দাবি একটাই, 'কোনো ভাবে আমাদের সৌদি ফেরান। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি'।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে সৌদিতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের অনুমতি পায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে ল্যান্ডিং পারমিশন না পাওয়ায় যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করতে পারছে না তারা। অপরদিকে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইটের ঘোষণা দেয় সৌদিয়া এয়ারলাইন্স। তবে বিমানকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি না দেয়ায় এখনো ঝুলে আছে সৌদির ফ্লাইট পরিচালনার ভবিষ্যৎ।
ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পাওয়ার পরই সৌদি এয়ারলাইন্স টিকিট বিক্রি শুরু করে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাদের প্রধান গেটের সামনে একটি কাগজে নোটিশ লিখে তারা জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সৌদি এয়ারলাইন্সের সকল প্রকার কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।