নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৬০ উপজেলায় ৪র্থ ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু
বুধবার (৫ জুন) ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও অদূরদর্শী কর্মকাণ্ডের বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট পরিবেশ ও প্রতিবেশগত অবক্ষয় রোধ এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ দিবসটির পালন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে এখন ৮০০ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করছে। সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে এ বিশাল জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে ভূমির ব্যবহার। ভূমি সম্পদের অপরিমিত ও অপরিণামদর্শী ব্যবহারে বিশ্বজুড়ে ভূমির অবক্ষয় তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘ইউনাইটেড নেশন্স কনভেনশন টু ডিজার্টিফিকেন্স (ইউএনসিসিডি)’ বিশ্বব্যাপী টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ২০৩০ সালের মধ্যে ‘ল্যান্ড ডিগ্রিডেশন নিউট্রালিটি (এলডিএন)’ অর্জনের রূপরেখা প্রদান করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ভূমি অবক্ষয় নিরপেক্ষতা বা এলডিএন অর্জন করা সম্ভব না হলে ২০৪৫ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী ১৩৫ মিলিয়ন মানুষ খরার কারণে উদ্বাস্তু হতে পারে।
আরও পড়ুন: দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর অভিঘাত আমাদের জন্য চরম বাস্তবতা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী মরুময়তা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হচ্ছে, যার কারণে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কাজেই, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা।’ যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বময় ভূমির অবক্ষয় রোধ, মরুকরণ ও খরার প্রভাব প্রশমনের লক্ষ্যে সরকার জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। ইউএনসিসিডিতে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে এ সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন রিপোর্ট দাখিল করে যাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাকশন প্রোগ্রাম (ন্যাপ) টু কমব্যাট ডির্জাটিফিকেশন, ল্যান্ড ডিগ্রেডিটিশন অ্যান্ড ড্রট ২০১৫-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।
সান নিউজ/এএন