নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর মৎস্যভবন এলাকা থেকে আটকের পর মুচলেকায় মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। ছাড়া পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নুর বলেন, আমি বুঝিনি কী কারণে ধরে আনা হলো আর কী কারণে ছাড়া হলো।
সোমবার রাতে মিছিল থেকে নুরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।
আটকের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নুরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হলেও পুলিশ প্রহরায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে আবারো নিয়ে যান ডিবি পুলিশের সদস্যরা। পরে রাত পৌনে ১ টার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে নুরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, নুরসহ আটক সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নুরের বড়ভাই নুরজামান বলেন, ডিবি অফিস থেকে নুরকে উত্তর বাড্ডার বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। শরীরের অবস্থা বেশি ভালো নয়। প্রয়োজন মনে হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হবে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। মামলায় এক জনের (হাসান আল-মামুন) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হলেও ভিপি নুরসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আল-মামুন (১৮), নাজমুল হাসান সোহাগ (১৮), সাইফুল ইসলাম (১৮), নাজমুল হুদা (২৫) ও আব্দুল্লাহ হিল কাফি (২৩)।