নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীর করা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী নূরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন লালবাগ থানায়।
ওই ছাত্রী মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ‘হাসান আল মামুন আমার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সুবাদে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই। নিজ বিভাগের সিনিয়র হওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সঙ্গে তার বিভিন্ন সময়ে ম্যাসেঞ্জার, ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। সেখানে আমাকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। গত ০৩ জানুয়ারি দুপুরে হাসান আল মামুন আমাকে তার রাজধানীর নবাবগঞ্জের মসজিদ রোডের ১০৪ নম্বর বাসায় যেতে বলেন। সেখানে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি।’
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর ০৪ জানুয়ারি আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ১২ জানুয়ারি আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মামুনের বন্ধু সোহাগের মাধ্যমে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমি ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে মামুন ও সোহাগ তা হতে দেননি। এর আগে মামুনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি রাজি হন। কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর তিনি নানা টালবাহানা শুরু করেন।’
ওই ছাত্রী অভিযোগে বলেন, ‘উপায় না দেখে ২০ জুন বিষয়টি ভিপি নুরকে মৌখিকভাবে জানাই। তিনি বলেন, মামুন আমার পরিষদের, আমার সহযোদ্ধা। তার সঙ্গে বসে একটা সুব্যবস্থা করে দেবো। এরপর ২৪ জুন মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে তিনি আমার সঙ্গে নীলক্ষেতে দেখা করতে আসেন। কিন্তু মীমাংসার বিষয়টি এড়িয়ে আমাকে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। আমি যদি বাড়াবাড়ি করি তাহলে তার ভক্তদের দিয়ে ফেসবুকে আমার নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট করাবেন এবং আমাকে পতিতা বলে প্রচার করবেন বলে হুমকি দেন। তাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ১.১ মিলিয়ন সদস্যের গ্রুপে এ প্রচারণার হুমকি দেওয়া হয়। নুর আরও জানান, তার একটি লাইভে আমার সব সম্মান চলে যাবে। ইতোমধ্যে মামলার চার নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম আমার নামে কুৎসা রটিয়েছেন এবং ৫ ও ৬ নম্বর আসামিকে লাগিয়ে দেন কুৎসা রটাতে। তারা ম্যাসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করাসহ সম্মিলিতভাবে চক্রান্ত করেন তারা।’
সান নিউজ/ বিএম/ এআর | Sun News