নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে নিখোঁজের ৪ দিন পর হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় নয়ন (২০) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সৌদি পৌঁছালেন ২৮৭৬০ হজযাত্রী
শনিবার (১৮ মে) দুপুর ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নয়ন শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কেবলনগর গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে। বর্তমানে সে যাত্রাবাড়ীর শেখদি এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সে পেশায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ছিলেন।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে শনিবার দুপুরের দিকে যাত্রাবাড়ীর গ্রিন মডেল প্রজেক্টের ভেতরে নির্জন এলাকার একটি বাউন্ডারি দেওয়া প্লটের মধ্যে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মুখ কাপড় দিয়ে এবং রশি দিয়ে হাত বাঁধা ছিল। মরদেহটি অর্ধগলিত ছিল। প্রথমে ওই যুবককে আমরা অজ্ঞাত হিসেবে পেলে প্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় জানতে সক্ষম হই। পরে নিহত ওই যুবকের মা মরদেহ শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে ৫ স্টেশন
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ মে নিখোঁজের ওই রাতে ডেমরা এলাকা থেকে তার অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে তখন রিকশাটির ব্যাটারি ও কিছু সরঞ্জামাদি খোয়া গিয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত নয়নের মা রিনা আক্তার বলেন, গত ১৪ মে রিকশা চালাতে যাবে বলে বাসা থেকে বেরিয়েছিল নয়ন। এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি। পরের দিন রিকশার মালিকের কাছ থেকে তিনি জানতে পারি মুগদায় নদীর পাড় থেকে সেই রিকশাটি পাওয়া গেছে। রিকশার ব্যাটারি ও কিছু সরঞ্জামাদিও খোয়া গিয়েছিল। সেইসঙ্গে নয়নেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১৬ মে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে গতকাল দুপুরের দিকে পুলিশের মাধ্যমে নয়নের মরদেহের খবর পাই। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ছেলের লাশ শনাক্ত করি।
সান নিউজ/এএন