নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে দেশের ওপর দিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র দাবদাহের কারণে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ বছরের এপ্রিল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা বেড়ে রেকর্ড গড়েছে। এ সময় ভেঙেছে র্পূবের সকল রেকর্ড। বিগত (৩০ এপ্রিল) যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা ৩ দশকে এই দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটি।
আরও পড়ুন: দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা
একটানা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের সাক্ষী শুধু বাংলাদেশই নয়, ফিলিপাইন্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমারও রয়েছে এই কাতারে।
টানা দেড় মাস ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিছু কিছু অঞ্চলভেদে গড় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। ১৯৮৯ সালের পর, এত দীর্ঘসময় ধরে টানা তাপপ্রবাহ কখনও দেখেনি এই দেশ।
এরকম শুধু বাংলাদেশেই নয়, চলমান এই তাপপ্রবাহ এবার এশিয়ার অনেক অঞ্চলেই ঘটেছে। এ বছরের এপ্রিলে রেকর্ড তাপমাত্রা এবং তাপপ্রবাহ দেখা গেছে দেশ গুলোতে। এই আবহাওয়া বিরূপ প্রভাব ফেলছে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলেছেন অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: হিমাগারে মজুত ১ লাখ ডিম
তবে তাদের দাবি, প্রতি ৩০ বছরে ১ বার এই ধরনের তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, এই তাপপ্রবাহ তৈরির সম্ভাবনা ইতোমধ্যেই প্রায় ৪৫ গুণ বেড়ে গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানান, ১৯৯৮-২০১৭ সালের মধ্যে শুধু তাপপ্রবাহের কারণেই ১ লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ