নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। আগামী ১৫ মে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় লাজ ফার্ম মডেল ফার্মেসির উদ্বোধন
শনিবার (১১ মে) দুপুরে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার (১৩ মে) বিকেলে জাহাজটি কুতুবদিয়া পৌঁছাবে। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করবে। বুধবার (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করবে।
গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত ৯ মে এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গী যাচ্ছে মেট্রোরেল, বঞ্চিত আশুলিয়াবাসী
এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। অস্ত্রের মুখে সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে দস্যুরা।
এরপর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় জলদস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা হয়।
গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। একই দিন বিকেলে তারা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়।
আরও পড়ুন: সব পরিকল্পনা পরিবেশবান্ধব হতে হবে
এ সময় একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। পরে স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়।
এ দিন দস্যুমুক্ত হয়ে রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। ২১ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে এবং সেখানে কার্গো খালাস করে দেশটির মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
প্রসঙ্গত, কবির গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি এ বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯.৯৩ মিটার ও প্রস্থ ৩২.২৬ মিটার।
আরও পড়ুন: ১০ অঞ্চলে ঝড়ের শঙ্কা, বৃষ্টি হবে কালও
২০২৩ সালে জাহাজটি কিনে নেয় এসআর শিপিং। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এ রকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।
এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। সেই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় মুক্তি পান তারা।
সান নিউজ/এনজে