নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমালি দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ তার ২৩ ক্রুকে নিয়ে দেশের পথে রওনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কলোম্বিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৯
সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্য রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি। এর আগে ওই বন্দর থেকে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর গত ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছায়। সেখানে কার্গো খালাস শেষে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।
আরও পড়ুন: ৩ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে হুঁশিয়ারি
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুরে কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা।
সেখানে অস্ত্রের মুখে দস্যুরা থাকা ২৩ ক্রুকে একটি কেবিনে আটকে রাখে। পরে জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নেয়া হয়।
জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা হয়। একপর্যায়ে ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। একইদিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়।
আরও পড়ুন: আজ ২৭ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
এ সময় একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। তখন স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগগুলো কুড়িয়ে নেয়। দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে ওই রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
জানা গেছে, কবির গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজটি আগে ‘গোল্ডেন হক’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯. ৯৩ মিটার ও প্রস্থ ৩২.২৬ মিটার।
আরও পড়ুন: ২ মে পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
গত বছর এটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এ রকম ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।
এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। সে সময় জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় দস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
সান নিউজ/এনজে