নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল ২ দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি।
আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত
তার এ সফরে ২ দেশের মধ্যে ৬টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই করার কথা রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ কাতারের আমিরের নামে করা হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিমানযোগে বাংলাদেশে আসছেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।
সফরকালে যে ৬টি চুক্তি সই হবে, সেগুলো হলো- ১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, ২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, ৩. সাগরপথে পরিবহণ সংক্রান্ত চুক্তি, ৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, ৫. দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি সংক্রান্ত চুক্তি, ৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রতি জনগণের ঘৃণা রয়েছে
এছাড়া যে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হবে, সেগুলো হলো- ১. শ্রমশক্তিবিষয়ক সমঝোতা স্মারক, ২. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, ৩. উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, ৪. যুব ক্রীড়াক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক, ৫. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
এদিকে ঢাকায় কালশী এলাকায় বালুরমাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।
পরদিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে তিনি নিজে উভয় স্থাপনার উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ১৭ লাখ টন ধান-চাল কিনবে সরকার
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার বিকালে বিশেষ বিমানযোগে ঢাকায় আগমন করবেন কাতারের আমির। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমে একান্ত বৈঠক ও পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে ২ দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
কাতারের আমিরের এ সফর তার এশিয়া সফরের অংশ। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ কাতার। দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক তাৎপরতা ও মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসেবে বিবেচিত।
কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিলের অধিকারী কাতার বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসেবে বিবেচিত।
এছাড়া দেশটি বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তাই কাতারের আমিরের আসন্ন এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য এক বিরাট মাইলফলক।
সান নিউজ/এনজে