নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
আরও পড়ুন : মানুষ এখন মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯ টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
এর আগে, রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেছিলেন। পরবর্তীতে এ পতাকাই ১৯৭১-এর ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন : মন্ত্রীর আত্মীয় বলে ছাড় পাবে না
১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। পরবর্তীতে ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়েছিল। ছাত্র নেতারা সে সময় এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
আরও পড়ুন : ইরানের ওপর পশ্চিমাদের চাপ বাড়ছে
পটূয়া কামরুল হাসানকে ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলেন। তার দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
সান নিউজ/এএ