নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসেরে কারণে যেসব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারি চাকরিতে বয়স ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
তবে বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশনা দিয়ে প্রত্যেক সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও এর অধীন সংস্থা এবং স্বায়ত্তশাসিত/জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে গত ২৫ মার্চের আগে নিয়োগের ছাড়পত্র গ্রহণসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল, কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেইসব দপ্তরে ২৫ মার্চ পর্যন্ত প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ জানানো হলো।
আদেশটি জারি করা হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের উপসচিব দীপংকর বিশ্বাসের স্বাক্ষরে। তিনি বলেন, ২৫ মার্চের আগে যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ছাড়পত্র নিয়েছিল শুধু সেসব বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী চাকরি প্রার্থীরা বয়স ছাড় পাবেন।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নেওয়া বিজ্ঞপ্তি যদি আগামী ডিসেম্বরেও প্রকাশ করা হয়, তাহলেও এই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। তবে এখন যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির জন্য নতুন ছাড়পত্র নিচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না।
যারা উল্লিখিত শর্তযুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করবেন তাদের ক্ষেত্রে ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখকে ৩০ বছর ধরে হিসাব করা হবে। এভাবে আবেদনের যোগ্য বিবেচিতদের জন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।
সান নিউজ/আরএইচ/ এআর