নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সদরঘাটের সাথে মেট্রোরেলের কানেকশন হয় সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণঞ্চালবাসীও মেট্রোরেলে করে সদরঘাট আসতে পারবে। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাবে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : মেট্রোরেলে ভ্যাটের বিষয়টি সরকার জানে না
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আগে স্পিডবোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আমি সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সেই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন : ট্রেনে কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না
তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি, তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে, কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আগে দেখতাম রাত ৮টায় লঞ্চে ছেড়ে যাবে কিন্তু যাত্রীরা লঞ্চে জায়গা নেওয়ার জন্য সকালবেলা এসে লঞ্চে বসে থাকতো দুপুরের খাওয়া দাওয়া নিয়ে। বর্তমানে সেই অবস্থাটা নেই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : আবারও গোলাগুলিতে কাঁপছে টেকনাফ
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সদরঘাটের কর্মীরা আগে ঘুমাতে পারতো না এখন একটু স্বস্তিতে আছে। নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিক ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো আছে। আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যাত্রী সাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবে। মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। পাঁচ বছরে তেমন কিছু করতে না পারলেও বিগত পনেরো বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন।
সান নিউজ/এমআর