সান নিউজ ডেস্ক : সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাথে সাথে এটা এখন খুব সহজেই জানা যায় যে, সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর চোখে কোনো সমস্যা আছে কিনা। সাধারণত প্রথম ৬ মাসে নিয়মিত শিশুকে চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।
শিশুদের চোখের কমন ব্যাধিগুলো কি আসুন জেনে নিই
১) কনজাংটিভাইটিস
এটা শিশুদের চোখের কমন অসুখগুলোর মাঝে অন্যতম, যেটা "পিঙ্ক আই" নামেও পরিচিত।এটা খুবই বিরক্তিকর সমস্যা কারণ এক্ষেত্রে চোখের রঙ লাল হয়ে যায় ও চোখ চুলকায়। এছাড়া চোখে ক্রমাগত পানি ঝরতে থাকে ও চোখ থেকে হলুদ-সবুজাভ পদার্থ নিঃসৃত হয়। চোখের বাইরে কনজাংটিভাতে জ্বালাপোড়া ও ফোলা ফোলা ভাবের জন্য এসমস্যাগুলো দেখা দেয়। এর জন্য দায়ী মূলত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস। এটা ছোঁয়াচে ও এর প্রতিকারের জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
২) অঞ্জলি
অঞ্জলি হলে চোখের পাতায় গুটির মতো দানা উঠে। চোখের ঘর্ম গ্রন্থি সংক্রমিত হলে এ সমস্যা হয়। এ রোগে শিশু থেকে বয়স্ক-যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। স্টেফাইলো কক্কাস অরিয়াস নামে ব্যাকটেরিয়া এ রোগের জন্য দায়ী। এটা সাধারণত ২-৩ সপ্তাহের মাঝেই ঠিক হয়ে যায়। তবে শিশুকে ইষৎ গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে চোখ মুছে দেয়া যেতে পারে।
৩) চোখের অশ্রুগ্রন্থি বন্ধ হয়ে যাওয়া
চোখের অশ্রু গ্রন্থি চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ চোখের পানি চোখকে পরিষ্কার রাখে। কিছু শিশু এই গ্রন্থি বদ্ধ অবস্থা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়। এটা মোটেই ভালো নয়, কারণ এর থেকেই চোখের যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়। চোখকে সামান্য গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় দিয়ে ম্যাসাজ করলে অশ্রুগ্রন্থিগুলো সক্রিয় থাকে ও চোখ পরিষ্কার করে নিজ থেকেই। যদি ১ বছর বয়সেও শিশুর এ সমস্যা থেকেই যায়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
৪) টোটোসিস
অনেক সময় দেখা যায় শিশুর চোখের পাতা ঠিকভাবে খুলছে না। এটাকে টোটোসিস বলা হয়। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে চোখের মনি সঠিক অবস্থান অর্থাৎ মাঝে না থেকে এক পাশে থাকে, ফলে চোখ টেরা হয়ে যায়। যা শিশুর ৪ মাস বয়স পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। এর চেয়ে বেশী দীর্ঘ হলে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন।
৫) দৃষ্টিশক্তির সমস্যা
৬-৮ সপ্তাহ বয়সী শিশুরা সহজেই যেকোনো ব্যক্তি বা বস্তু দেখতে পায় খুব ভালোভাবে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলেই বুঝতে হবে যে, তার চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত এ সমস্যা ৩ মাস বয়সের মাঝেই কেটে যায়, শিশুর চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে যদি এসময়ের পরও সমস্যা থেকে যায়, তবে দ্রুত চোখের ডাক্তারের কাছে শিশুকে নিয়ে যেতে হবে।
উপরে যে চোখের সমস্যাগুলোর কথা বলা হলো, এগুলো খুব সহজে ঘরে বসেই সারিয়ে ফেলা সম্ভব। এছাড়া ইন্টারনেটেও এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাবেন। তবে সব সময়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সান নিউজ/এসএ