সান নিউজ ডেস্ক:
শিশুর প্রকাশের মাধ্যম অনেক। তার ভাষার প্রয়োজন হয় না।- চালর্স ডিকেন্স
“যদি আমরা সত্যিকারের শান্তি খুঁজে পেতে চাই এবং যদি আমরা মিথ্যার বিরুদ্বে সত্যর যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই ,তবে তা শুরু হবে শিশুদের দ্বারা।’
শিশুর ব্যক্তিত্বের প্রতি বিশ্বাসী হোন, তার উপর মাত্রাতিরিক্ত অভিভাবকত্ব করবেন না, শিশূর রাজ্যে অনাধিকার প্রবেশ ও তার মানসিকতার পক্ষে শুভ নয়।- ইমারসন
এই উক্তি বলে দেয় বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতাই শিশুদের তাৎপর্য। শান্তিময় পৃথিবীর অন্বেষণ মানব সভ্যতার আদি লক্ষ এবং নিঃস্বার্থ ভালবাসাই সেই লক্ষ্য পূরণের একমাত্র হাতিয়ার।
শিশুরা সৃষ্টির জন্ম লগ্ন থেকে নিঃস্বার্থ ভালবাসার একমাত্র প্রতীক। তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার জাঁতাকলে পিষ্ট এই নিঃস্বার্থ শিশুর পরিচয় আজ বিভক্তিময়। আজ তার একটি অংশ সমাজে বিবেচিত ‘পথ শিশু। ‘পথ শিশুর সংজ্ঞায় বলা হয় সমাজে যারা সকল প্রকার সুবিধা বঞ্ছিত,রাস্তাই যাদের জীবন,ভিক্ষা,করা যাদের বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
আমরা কি কখনও সমাজের উচু শ্রেণীর শিশুদের যারা আধুনিক সকল সুবিধা প্রাপ্ত ,যারা ইট তক্তার তৈরী গৃহে বাস করে,তাদের কি আমরা ‘গৃহপালিত শিশু’নামে ডাকি।এই কথার উত্তরে একটাই উত্তর ’অবশ্যই না’।
তবে এই সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কেন আমি পথ শিশু নামে অভিহিত করব। যদি আমাদের লজ্জা নামক বিশেষণ থেকে থাকে! বাংলাদেশ পরিসংখ্যান অধিদফতরের এক জরিপে বলা হয়েছে, সারা দেশে ১০ লক্ষাধিক পথশিশু রয়েছে। এদের মধ্যে ৫ ভাগ পথশিশু অস্থায়ীভাবে বসবাস করে রাজধানীতে, বাকি ৯৫ ভাগ সারা দেশের বিভাগ ও জেলা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
আমাদের মানবতা আজ কোথায় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।বেশি কিছুনা,শুধু একটু ভালবাসা তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেলে একটা শিশু পাবে সুন্দর জীবনের স্বপ্ন। আমরা প্রত্যেকেই যদি আমাদের মানবতাবাদ জাগ্রত করি তবে একদিন আমদের আকাঙ্খা পুরণ করবে আমাদের শিশুরা। সব শিশুদের জন্য ভালবাসা দেখাতে কার্পণ্য বদ করব। পৃথিবী হোক এই শিশুদের নির্ভয় আশ্রয়..এটা কি খুব বেশি প্রার্থনা…শেষ করতে চাই কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর একটি উক্তি দিয়ে
সান নিউজ/পিডিকে