সান নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল সোমবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিকটাকার গ্রহাণু। ৩৮ হাজার ৬২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা (২৪,০০০ মাইল প্রতি ঘন্টা) গতিবেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণুটি।
মনে করা হচ্ছে, অ্যাসট্রয়েড ২০২০ কিউএল২ নামের এই গ্রহাণুটির ব্যাস প্রায় ১২০ মিটার (৩৯৪ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে, যা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর ৬.৮ মিলিয়ন কিলোমিটার কাছাকাছি চলে আসবে। তবে পৃথিবী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই এটি পার হয়ে যাবে, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুটি লন্ডন আইয়ের চেয়েও বড় বা দুটি ফুটবল মাঠের থেকেও বড়, যার আকার ৫৩ মিটার থেকে ১২০ মিটারের মধ্যে হতে পারে। এই নিয়ার আর্থ অবজেক্টসটি মহাকাশের পানি থেকে পরিণত বরফ এবং ঘন সন্নিবিষ্ট ধূলিকণা থেকে তৈরি হয়ে বড় শিলার রূপ নিয়েছে। আপাতত এই গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ১০.৫ কিলোমিটার (সেকেন্ডে ৬.৫২ মাইল) গতিবেগে ভ্রমণ করছে।
সাধারণত মহাকাশের যে সব বস্তু পৃথিবীর থেকে ০.০৫ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট (৪.৬ মিলিয়ন মাইল) দূরত্বের মধ্যে চলে আসে এবং সেগুলির ব্যাস যদি ১৪০ মিটারের কাছাকাছি হয় তবে সেগুলি বেশ কিছুটা আশঙ্কার বিষয় হয়ে ওঠে। এইভাবেই কিউএল২ গ্রহাণুটির আকার এবং পৃথিবীর সাথে দূরত্বের কথা বিবেচনা করে, এটিকে “সম্ভাব্য বিপজ্জনক” হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে, কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করেছেন, পৃথিবীর গা ঘেঁষে পার হয়ে যাবে গ্রহাণুটি।
গ্রহাণুটির বর্তমান গতিপথ বিবেচনা করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্য দিয়ে প্রায় দশগুণ দূরত্বে চলে যাবে। সুতরাং, পৃথিবীতে এটির আঘাত করার সেরকম সম্ভাবনা নেই। প্রসঙ্গত, গত জুন মাস থেকে বেশ কয়েকটি গ্রহাণু পৃথিবীকে প্রায় ছুঁয়ে পেরিয়ে গেছে, তবে এই কারণে পৃথিবীতে কোন প্রভাব পড়েনি।
সান নিউজ/ বিএম/ এআর