আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাঁকা গ্রহ শুনলেই মনের মধ্যে ভয় আর আতঙ্কের সৃষ্টি করে। অবশ্য বাঁকা শব্দে বোঝানো হয় উল্টো ঘোরা। সত্যি কি গ্রহ উল্টো ঘোরে?
প্রাচীনকাল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক গ্রহদের গতি নিরীক্ষিত হয় পৃথিবী থেকেই। এই পর্যবেক্ষণ ভূকেন্দ্রিক। অভ্যন্তরিণ গ্রহ বুধ, শুক্র এবং বহির্ভাগের গ্রহ মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি সূর্যের চতুর্দিকে নিজ কক্ষপথে অবিরাম ভিন্ন গতিতে ঘুরে চলেছে।
গ্রহদের গতি আলাদা হওয়া এবং পৃথিবী থেকে দেখার কারণে একটা নির্দিষ্ট অবস্থানে স্থির নক্ষত্রদের স্বাপেক্ষে গ্রহটিকে কিছু সময় স্থির (গতিহীন) মনে হয়। পরবর্তী সময় উল্টো ঘুরছে মনে হয়। এই সময়ে গ্রহের গতিকে বক্রগতি বা বাঁকা বলা হয়।
আবার নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে সরে গেলে সম্মুখাভিমুখ গতি বলা হয়। আসলে কোনও গ্রহ কখনও উল্টো ঘোরে না। জ্যোতিষ শাস্ত্রে সূর্য এবং চন্দ্র সর্বদা সম্মুখাভিমুখ গতিতে চলে। অর্থাৎ কখনও বাঁকা গতি প্রাপ্ত হয় না। রাহু এবং কেতুর সর্বদা বক্রগতি। মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র এবং শনি গ্রহের উভয় গতিই দেখা যায়।
বাঁকা গ্রহের ফল সম্বন্ধে প্রাচীন বিভিন্ন গ্রন্থে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। গ্রহের ফল শর্তসাপেক্ষে পরিবর্তনশীল, কোথায়ও ভালো আসে- আবার কোথায়ও উল্টোটা আসে। এক্ষেত্রে পুরোপুরি আতঙ্কের কারণ বলা যায় না ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রীরা মনে করেন।
সান নিউজ/ আরএইচ