আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাড়ির ছাদে নামতে পারে স্বপ্নের উড়ন্ত ট্যাক্সি। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আর বসে থাকা লাগবে না। ফোনে ট্যাক্সি ডাকবেন, সঙ্গে সঙ্গে তা উড়ে এসে নামবে আপনারই বাড়ির ছাদে। এরপর সেটিতে চেপে উড়তে উড়তে চলে যাবেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য আমরা স্বপ্নে না হয় সিনেমায় দেখেছেন। তবে আশার কথা, সেই স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, উড়ন্ত ট্যাক্সির স্বপ্ন সত্য করার অন্যতম উদ্যোক্তা যুক্তরাজ্যের ভার্টিক্যাল অ্যারোস্পেসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ফিটজপ্যাট্রিক। এই লক্ষ্যে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহে নামছেন তিনি। সঙ্গে ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে এগিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের একগুচ্ছ কোম্পানি।
ফিটজপ্যাট্রিক জানিয়েছেন, এসব কোম্পানির যৌথ প্রচেষ্টায় চলতি দশকের মাঝামাঝি আকাশে উড়তে পারে তার স্বপ্নের ট্যাক্সি। অবশ্য এই মিশনে ভার্টিক্যাল প্রধান একা নন, যোগ হচ্ছেন বিশ্বের সেরা কিছু প্রকৌশলীও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স আরও জানায়, উড়ন্ত ট্যাক্সি তৈরির মিশনে আমেরিকান এয়ারলাইনস, অ্যাভোলন, হানিওয়েল, রোলস-রয়েলসের পাশাপাশি মাইক্রোসফটের এম১২ ইউনিট যোগ দিচ্ছে ভার্টিক্যালের সঙ্গে। যোগ দেওয়ার এই প্রক্রিয়া চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফিটজপ্যাট্রিক আরও জানান, তাদের তৈরি প্লেন ট্যাক্সিতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ক্যান্যারি হোয়ার্ফ জেলায় যেতে সময় লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট ও জনপ্রতি খরচ পড়বে ৫০ পাউন্ডের (৬৮ ডলার) মতো।
ভার্টিক্যালের উড়ন্ত ট্যাক্সি হবে পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব। প্রায় নিঃশব্দে চারজন আরোহী নিয়ে সেটি পাড়ি দেবে ১২০ মাইল পর্যন্ত। আশাব্যঞ্জক এই প্রকল্প আগ্রহী করে তুলেছে ব্যবসায়ীদেরও। এরই মধ্যে এক হাজারের বেশি ভিএ-এক্স৪ মডেলের ছোট প্লেন আগাম অর্ডার করেছেন ক্রেতারা।
উড়ন্ত ট্যাক্সি তৈরি হয়ে গেলে ভার্টিক্যালের সামনে সবচয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে সেটির অনুমোদন। তবে এক্ষেত্রেও আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান। স্টিফেন ফিটজপ্যাট্রিক জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।
সান নিউজ/এমকেএইচ