ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক :
মানব শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন বা অক্সিজেন বহনকারী লোহিত রক্তকণিকার প্রোটিনের মাত্রা নির্ধারণে সাধারণত রক্তই পরীক্ষা করা হয়।
তবে একদল মার্কিন গবেষক সম্প্রতি এমন একটি উপায় বের করেছেন যাতে কোনো ব্যক্তির চোখের পাতার স্মার্টফোন চিত্র ব্যবহার করেই তা সম্ভব হবে।
'অপটিকা' সাময়িকীতে এই গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে । এতে বলা হয়েছে, ক্লিনিক্যাল ল্যাব টেস্টের সবচেয়ে পরিচিত এ পরীক্ষাটি রক্ত নেওয়া ছাড়াই স্মার্টফোনের মাধ্যমে করা গেলে সরাসরি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া জটিল পরিস্থিতির রোগীকে পর্যবেক্ষণও সহজ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়ং কিম বলেছেন, রক্তের হিমোগ্লোবিন স্তর, কিডনি সমস্যা ও রক্তক্ষরণ শনাক্তকরণের জন্য বা সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার মতো রক্তরোগ মূল্যায়নের জন্য আমাদের নতুন মোবাইল স্বাস্থ্য পদ্ধতিকে কাছে বা দূরবর্তী পরীক্ষার পথ সুগম করতে সক্ষম হবে।
গবেষণা দলটি একটি স্মার্টফোনের অন্তর্নির্মিত ক্যামেরাকে হাইপারস্পেকট্রাল ইমেজারে রূপান্তর করতে সফটওয়্যার ব্যবহার করেছিলেন, যা কোনেো হার্ডওয়্যার পরিবর্তন বা আনুষাঙ্গিক প্রয়োজন ছাড়াই হিমোগ্লোবিন স্তরকে নির্ভরযোগ্যভাবে পরিমাপ করে। পরীক্ষামূলক প্রকল্পে দেখা গেছে, রক্ত পরীক্ষার চেয়ে এ পদ্ধতিতে ভুলের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে।
স্পেকট্রাল সুপার-রেজুলেশন স্পেকট্রোস্কোপি নামে পরিচিত একটি পদ্ধতির ব্যবহার করে গবেষকেরা এই বিশ্লেষণের একটি মোবাইল স্বাস্থ্য সংস্করণ তৈরি করেছিলেন। এতে সফটওয়্যারটি ছবিকে কম রেজুলেশন সিস্টিমে রূপান্তর করতে পারে। এরপর গবেষকেরা সংবেদনশীল সাইট হিসাবে অভ্যন্তরীণ চোখের পাতা পর্যবেক্ষণ করেন।
গবেষকেরা সুপার রেজুলেশন এলগরিদম ও বিশেষ কম্পিউটেশনাল অ্যালগরিদম কাজে কাজে লাগিয়ে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্ণয় করেন।
দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে পরীক্ষার পরে গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইলে রক্ত পরীক্ষা প্রচলিতি রক্ত পরীক্ষার সঙ্গে তুলনীয় হতে সক্ষম।
কিম বলেন, ডেটা-কেন্দ্রিক পদ্ধতির সঙ্গে এখনকার স্মার্টফোনে বিল্ট-ইন সেন্সরগুলেোর সংমিশ্রণ এসব ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং গবেষণা আরও দ্রুততর করতে পারে।