সান নিউজ ডেস্ক:
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ আজ শুক্রবার। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে শুক্রবার দিনগত রাত ৩টা ১২ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।
যদিও এটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ নয় তবে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে কৌতূহলী জ্যোতির্বিদরাও। এ ধরনের চন্দ্রগ্রহণকে বলা হয় ‘উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ।’
আকাশ পরিষ্কার থাকলে ঢাকা থেকে রাত ১১টা ৭ মিনিটে এই গ্রহণ দেখা যাবে। এছাড়া ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম থেকে ১১টা ৫ মিনিটে, সিলেট থেকে ১০টা ৫৯ মিনিটে, খুলনা থেকে ১১টা ১৩, বরিশাল থেকে ১১টা ১০ এবং রাজশাহী থেকে ১১টা ১৩ মিনিটে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চন্দ্রগ্রহণের কেন্দ্রীয় গতিপথ চীনর ইউনানের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। সবোর্চ্চ গ্রহণ হবে ভারতের দাহোর ও উত্তরপশ্চিম দিকে। চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে সৌদি আরবের আলহাফিয়ার উত্তর-পূর্ব দিকে।
জ্যোতির্বিদ এফ আর সরকার জানান, এটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ নয়। এটিকে পেনামব্রাল লুনার একক্লিপস বা উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়বে, কিন্তু ছায়াটি খুব গাঢ় হবে না, খুব হালকা হবে।
ফলে আকাশ পুরো অন্ধকার হয়ে যাবে না। হালকা আলো কমে যাবে।পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হলে ছায়াটা গাঢ় হয়। এ ধরনের গ্রহণ প্রায়ই হয়। আমরা ৭০ ভাগ দেখতে পাবো। শুক্রবার সাড়ে ১১টায় আমরা চাঁদের উপর পুরো ছায়াটি দেখতে পাবো যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে।
এফ আর সরকার আরও জানান, সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ যখন এখই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপরে পড়ে। এই ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ সম্পূর্ণ ঢেকে গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।
সবসময় পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদ সম্পূর্ণ ঢেকে যায় না। তখন চাঁদের একটা অংশের উপরে ছায়া পড়ে ও শুধু সেই অংশটাই কালো দেখায়। এই ঘটনাকে বলা হয় উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ। চলতি বছর আরও তিনটি চন্দ্রগ্রহণ হবে। এরমধ্যে দ্বিতীয়টি ৫ জুন, পরে ৫ জুলাই ও সবশেষ চন্দ্রগ্রহণ ৩০ নভেম্বর।