নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনা : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) উচ্চফলনশীল এবং অধিক চিনি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন জাতের আখ উদ্ভাবন করেছে।
বুধবার (৩০ জুন) বিএসআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত ১৭ জুন দুপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৫তম সভায় এ জাতটি অবমুক্ত করা হয়।
সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানায়, এ জাতের ফলন (৯৩.৫০-১২১.৫২ টন) বহুল প্রচলিত চেকজাত ঈশ্বরদী ৩৯-এর চেয়ে ৭.৩৬ শতাংশ বেশি এবং চিনি ধারণ ক্ষমতা (১২.০৬-১৫.১১ শতাংশ) ও গুড় আহরণ হার (১০.৭৫ শতাংশ)। এ জাতের চেয়ে যথাক্রমে ০.৩৮ শতাংশ এবং ০.৮৫ শতাংশ বেশি। জাতটি মোটা এবং স্মার্ট ও উইল্ট রোগ প্রতিরোধী। এতে লালপচা রোগ দেখা যায় না।
ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া অঞ্চলের কৃষক মহিরুল আলম বলেন, এ জাতের আখের পাতায় ধার কম থাকায় মাঠের শ্রমিকরা অনায়াসে ক্ষেতে কাজ করতে পারেন। যার ফলে এই আখক্ষেতে শ্রমিকের ঘাটতি হবে না।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় দেখা যায় আখের পাতায় ধার বেশি থাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। যার কারণে আখের পাতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলনও কম হয়।
দাপুনিয়া ইউনিয়নের আখচাষি আনিস মিয়া জানান, নতুন এই জাতটি উদ্ভাবনে আমরা খুব আশাবাদী। এতদিন আখ চাষ করে অনেককে লোকসান গুনতে হয়েছে। অনেকেই ঋণ নিয়ে আখ চাষ করে পথে বসেছে। এখন হয়তো এই জাত আবাদ করে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারব।
ঈশ্বরদী সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক সঞ্জিত কুমার পাল বলেন, এই জাতের আখচাষে ব্যাপক সুবিধা আছে। একদিকে শ্রমিক কম লাগবে অন্যদিকে ফলন বেশি হবে। দেশের চিনি শিল্পের ঘাটতি মিটবে।
সান নিউজ/ এসএ