আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আপনি কখনও ভেবেছেন মহাকাশে কোনও আবাসিক হোটেলের অবকাশ যাপনে যাবেন এবং সেখানে সুস্বাদু খাবার উপভোগ করবেন? অবশেষে সেটিই সত্যি হতে যাচ্ছে!
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে পৃথিবীর নিকটতম কক্ষপথে প্রথম এই মহাকাশ হোটেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। অরবিটাল এ্যাসেম্বলি করপোরেশনের (ওএসি) ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই হোটেলটি ২০২৭ সালে চালু করার আশা করা হচ্ছে।
হোটেলটি বৃহত্তর এক বৃত্তকে ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। কৃত্রিম মহাকর্ষ শক্তি সৃষ্টির জন্য এটি ঘোরানো হবে যা চন্দ্রপৃষ্ঠের অনুরূপ মহাকর্ষ তৈরি করবে। দুর্বল মহাকর্ষশক্তির আয়েশ ও বিলাসবহুল হোটেলের সংমিশ্রণ করা হয়েছে এখানে।
শুধু নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিই সারাজীবন মনে রাখার মতো এই অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। হোটেলটির ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, এখানে অবকাশ যাপনের জন্য এক পর্যটকের খরচ করতে হবে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫ শত টাকা)।
মহাকাশ হোটেলটিতে একটি সিনেমা হল, বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট, স্পা, একটি প্রমোদ তরী ও ৪ শ’ লোকের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা থাকবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য এই হোটেলের ঘুরতে থাকা বৃত্তের বাইরে অনেকগুলো খোপের ব্যবস্থা থাকবে।
কয়েকটি খোপ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসাসহ বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থার গবেষণার জন্য বরাদ্দ করে দেয়া হবে। ওএসি বলেছে, স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ ও ভবিষ্যতে উদ্ভাবিত হতে যাওয়া স্টারশিপের মতো পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান ব্যবহারের কারণে খরচ কম হবে।
হোটেলটির নকশাচিত্র এরইমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। ওএসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘ভয়েজার স্টেশন একটি ঘূর্ণায়মান মহাকাশ স্টেশন। ঘুরার হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার কৃত্রিম মহাকর্ষ শক্তি তৈরির নকশা করা হয়েছে এতে। কৃত্রিম বা নকল হলেও, মহাকাশে দীর্ঘসময় আবাসের জন্য মহাকর্ষ প্রয়োজনীয়।’
হোটেলটির ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাণিজ্যের সঙ্গে আমোদের সংযোগে এই হোটেলের নকশা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মহাকাশ সংস্থাকে এখানে সংযুক্ত করা হলেও মূলত মহাকাশের পর্যটকদের পৃথিবীর বাইরের জীবনের অভিজ্ঞতা দিতেই এটি তৈরি করা হচ্ছে। সূত্র : বোল নিউজ।
সান নিউজ/এসএ