শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
বিজ্ঞান প্রকাশিত ১৪ মার্চ ২০২১ ০৬:৪৮
সর্বশেষ আপডেট ৩০ জুন ২০২১ ১৭:৪৫

বিজ্ঞানীরা ৬৭ লাখ শুক্রাণু নমুনা পাঠাতে চান চাঁদে

সান নিউজ ডেস্ক : প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতি খরা, গ্রহাণুর আঘাত, পারমাণবিক যুদ্ধ এমন সব ঝুঁকি ক্রমশই বাড়ছে পৃথিবীতে। এর ফলে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বাইরে মানুষে জীবন সংরক্ষণ করার বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন।

পৃথিবীর বাইরে, মহাশূন্যে বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অবশ্যই জীবনকে টিকিয়ে রাখতে হলে মানবজাতিকে তার দৃষ্টি দিতে হবে মহাকাশ ভ্রমণের দিকে। তাই কিভাবে পৃথিবীর বাইরে জীবনকে সংরক্ষণ করা যায় বা নতুন করে জনসংখ্যার বিস্তার ঘটানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

শনিবার (১৩ মার্চ ) জমা দেওয়া রিপোর্টের শিরোনাম ‘লুনার পিটস এন্ড লাভা টিউবস ফর এ মডার্ন আর্ক’। জেকান থাঙ্গা বলেছেন, পৃথিবী পরিবেশ প্রাকৃতিকভাবে পরিবর্তনশীল। এই গ্রহের অস্থিতিশীলতার কারণে পৃথিবী ভিত্তিক প্রজনন ব্যবস্থার সংরক্ষণ ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব এ্যারিজোনার বিজ্ঞানী জেকান থাঙ্গা এ বিষয়ক গবেষণাকর্মের লেখক। তিনি ও তার টিম এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বার্ষিক ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স এরোস্পেস কনফারেন্সে।

বিজ্ঞানীরা এ প্রক্রিয়ায় চাঁদের বুকে শুক্রাণু ব্যাংক বা স্পার্ম ব্যাংক গড়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। একে তারা আধুনিক বৈশ্বিক ইন্স্যুরেন্স পলিসি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা প্রস্তাব করেছেন যে, মানব প্রজননে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু কোষের একটি সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠার। পৃথিবী থেকে মানুষসহ অন্যান্য প্রজাতির ৬৭ লাখ প্রাণির দেহ থেকে এসব সংগ্রহ করে তা চাঁদে সংরক্ষণ করার কথা বলা হচ্ছে। এই সংরক্ষণাগার থাকবে চাঁদের পৃষ্ঠের নিচে।

তাই যেভাবে কোনও উদ্ভিদের বীজ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হয়, তেমনি মানব ও অন্যান্য প্রাণীকে চাঁদে নিয়ে তা সংরক্ষণ করতে চান জেকান থাঙ্গা। তার মতে, তা যতটা তাড়াতাড়ি করা সম্ভব ততই ভাল। সম্প্রতি চাঁদের গায়ে যে কূপ বা পিট আবিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে প্রজনন কোষকে সংরক্ষণ করতে চান বিজ্ঞানীরা।

সেইসব কূপ থেকে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন শত শত বছর আগে লাভা উদগীরণ হয়েছিল। বৈশ্বিক বিপর্যয়ের নানা পর্যায়ে চাঁদের পৃষ্টে নানা রকম প্রজাতির প্রজনন সেল সেখানে নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষিত থাকবে। এমন প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্রাইওজেনিক্যাল।

থাঙ্গা বলেন, অনেক বৃক্ষ এবং পশুপাখি এরই মধ্যে মারাত্মকভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ৭৫০০০ বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার তোবা পাহাড়ের উৎগীরণকে একটি উদ্বেগজনক কারণ হিসেবে মনে করা হয়। তিনি বলেন, এর ফলে এক হাজার বছরের জন্য একটি শীতল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে মানুষের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে আরও অনেক ফ্যাক্টর, যা এখনও পুরোপুরি বোঝা যায় না।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

টিভিতে আজকের খেলা

প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বেশ কিছু খেলা প্রচারিত হবে টেলিভিশনের পর...

১২ এপ্রিল: ইতিহাসের এই দিনে

আজ শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫। ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দ...

চারুকলায় আগুনে পুড়ল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’

নববর্ষ শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বানানো দু...

মার্চ ফর গাজা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা