সান নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার মহাকাশ যান ‘জুনো’ থেকে বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমেড রেডিও সিগন্যাল পাওয়ার পর নতুন জল্পনা-কল্পনা শুরু করেছে, সম্প্রতি নাসা এ তথ্য জানিয়েছে। সাধারণত রেডিও তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল কোনও জীব থাকার ইঙ্গিত বা যোগাযোগের বিষয়টিকে তুলে ধরে বলেই গ্যানিমেডে প্রাণের অস্তিত্বের বিষয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
তবে মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি। বৃহস্পতির কোনও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার জেরেই এই রেডিও তরঙ্গের উৎপত্তি। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুনো বৃহস্পতির কক্ষপথ ধরেই প্রদক্ষিণকালে সম্প্রতি গ্যানিমেড থেকে এই সংকেত পেয়েছে।
বৃহস্পতির ৭৯টি উপগ্রহের মধ্যে অন্যতম হলো গ্যানিমেড। এর আগে কখনও এই উপগ্রহ থেকে কোনও রকম তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল ধরা পড়েনি। মহাকাশবিজ্ঞানীদের কথায়, মূলত ইলেকট্রন থেকে এ ধরনের তরঙ্গ বা সিগন্যাল সৃষ্টি হয়। এই গ্রহে হয়তো কোনও প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটছে। তা থেকেই এমন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে।
নাসার গবেষক প্যাট্রিক ইউইংস বলেন, সাইক্লোট্রন ম্যাসার ইনস্ট্যাবিলিটি নামে এক ধরনের প্রক্রিয়ার ফলে এমন হতে পারে। সাধারণত কোনও তড়িৎ চুম্বকীয় ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রক্রিয়া ঘটে থাকে। এতে ইলেকট্রনের উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। আর আশপাশের এলাকায় একটি ফ্রিকোয়েন্সি অনুভূত হয়। জুনো সেই ফ্রিকোয়েন্সি ধরতে সক্ষম হয়েছে।
২০১১ সালে নিউ ফ্রন্টিয়ারস প্রোগ্রামের অধীনে মহাকাশে জুনো মহাকাশ যানটিকে পাঠিয়েছিল নাসা। এই প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক মিশন ছিল। প্রোগ্রামের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল, সম্পূর্ণ সৌরজগতে অভিযান চালানো এবং বিভিন্ন গ্রহের বিষয়ে তথ্য জানা।
সেই প্রোগ্রামের অধীনেই জুনো বৃহস্পতির কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যায়। বৃহস্পতির ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করে যানটি। কীভাবে এই বৃহস্পতি তৈরি হয়েছে, কীভাবে তা বর্তমান রূপে এলো এমন একাধিক বিষয় ধীরে ধীরে জানার চেষ্টা করা হয়। ২০১৬ সালে বৃহস্পতির কক্ষপথে প্রবেশ করে জুনো।
সান নিউজ/এসএ