আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিনের পর দিন গোটা বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ১১ হাজার লিটার এভিয়েশন ফুয়েল বা তেল জ্বলছে। শুধু আটলান্টিক মহাসাগর পেরোতেই একটি উড়োজাহাজ সেকেন্ডে প্রায় এক লিটার তেল পোড়ায়। অর্থাৎ ঘণ্টায় তিন হাজার লিটার।
এভাবে কোটি কোটি বছর ধরে মাটির নিচে চাপা গাছপালা থেকে খনিজ তেলের কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে জলবায়ু পরিবর্তন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করছে। আর এভাবেই পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে।
বাতাস ও সূর্যের আলোকে ব্যবহার করে জার্মানির জুরিখ শহরের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই লক্ষ্যেই গবেষণা চলছে। ছাদের ওপর এক বিশেষভাবে তৈরি সৌরচুল্লি বসানো হয়েছে, যা সূর্যের ঘনীভূত রশ্মির সাহায্যে চারপাশের বাতাস থেকে জ্বালানি সৃষ্টি করে। সেটি আডো স্টাইনফেল্ড ও তার ছাত্রছাত্রীদের সেরা সৃষ্টিকর্ম। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই টিম সেই যন্ত্র নিয়ে কাজ করছে। সূর্য, বাতাস ও পানি থেকে জ্বালানি তৈরির তত্ত্ব যে সত্যি কার্যকর হতে পারে, এই প্ল্যান্ট তার সাক্ষাৎ প্রমাণ।
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরল এ গবেষণার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাতাস শুষে নেওয়া হয় এবং তার মধ্য থেকে পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করা হয়। তারপর আয়না বসানো ডিশে সূর্যের রশ্মি পুঞ্জীভূত করা হয়। এভাবে দুটির মধ্যে একটি রিঅ্যাক্টরকে দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত করা হয়।
এ দুই চুল্লির মূলে রাখা এক ক্যাটালিটিক কনভার্টার রূপান্তরের প্রথম ধাপ সম্ভব করে। স্পঞ্জের মতো বৈশিষ্ট্যের এ কনভার্টারের ওপর সেরক্সাইড নামের বিরল ধাতুর প্রলেপ থাকে। এর মাধ্যমে পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের উপাদানগুলো বিভক্ত করে আবার নতুন করে জোড়া দেওয়া হয়। ফলে তথাকথিত সিনগ্যাস সৃষ্টি হয়। জুরিখের এ প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে স্পেনে আরও বড় পরীক্ষামূলক প্ল্যান্ট চালু করেছে। খবর : ডয়চে ভেলের ।
সান নিউজ/এসএ