আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২১ বছর পর পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হেনেছে। বিরল এ সৌরঝড় আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এর কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: ১০ অঞ্চলে ঝড়ের শঙ্কা, নদীবন্দরে সংকেত
সৌরঝড়ের ফলে শুক্রবার (১০ মে) তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে আকর্ষনীয় মহাকাশীয় আলো বা অরোরা দেখা দিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পর থেকে বেশ কয়েকটি করোনাল ম্যাস ইজেকশনের (সিএমই)-এর ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সকালে রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি
প্রসঙ্গত, সূর্য থেকে প্লাজমা ও চৌম্বক ক্ষেত্র বেরিয়ে আসার ঘটনাকে সিএমই বলা হয়ে থাকে। পরে এটি মারাত্মক ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ে পরিণত হয়।
২০০৩ সালের অক্টোবরে হ্যালোইন স্টর্মসের পর এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। ২১ বছর আগের ওই সৌরঝড়ে সুইডেনে ব্ল্যাকআউট ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আগামীতে আরও সিএমই পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিরল এ সৌরঝড় যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের শঙ্কা আনলেও তৈরি করেছে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যও।
আরও পড়ুন: ঢাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা
সৌরঝড়ের কারণে উত্তর ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলেশিয়া পর্যন্ত আকাশে অরোরা বা নর্দার্ন লাইট দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও ঝড় তুলেছে।
এদিকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস ও পাওয়ার গ্রিডগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোলার ফ্লেয়ার বা সৌর অগ্নিশিখা সাধারণত আলোর গতিতে ভ্রমণ করে এবং প্রায় ৮ মিনিটের মধ্যে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সেই তুলনায় সিএমইর গতি অনেকটাই ধীর। এর গড় গতি প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ কিলোমিটারের মধ্যে।
সান নিউজ/এনজে